সোনাতলায় ডাকাতি ছিনতাই আতঙ্কে গ্ৰামবাসীঃ রাত জেগে পাহাড়া
গত (৫ই আগষ্ট) সোমবার দুপুরে আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকেই বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হিন্দুদের বাড়ি,প্রতিষ্ঠানে হামলা,লুটপাট করে দূর্বৃত্তরা।
ফলে উপজেলা বিএনপির সভাপতি একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির এর কানে এলে দ্রুত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দেন উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির নেতৃবৃন্দকে। নামাজখালী গ্ৰামের শ্রীদাম ঘোষের মেয়ে উন্নতি ঘোষ জানান,আমাদের বাড়িতে গত সোমবার বিকেলে হঠাৎ করে ২০/৩০ জন দলবদ্ধ হয়ে এসে ভাংচুর চালায়।
সেসময় কয়েকজন চেনা মুখ গোয়াল ঘরে থাকা গরুগুলো নিয়ে যেতে ধরলে তাদের হাত পা ধরে গরুগুলো ফিরিয়ে আনি। ওই গ্ৰামের সুভাষ ঘোষ বলেন,দলবদ্ধ লোকজন এসে বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও আসবাবপত্র লুটপাট সহ গোয়ালঘরে থাকা ৩টি গরু নিয়ে যায়। করমজা মৎস্যজীবী পাড়ার যুধিষ্ঠি সরকার জানান, আমার বাড়ি ভাংচুর সহ ১টি গরু নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
এছাড়াও মহিলা কলেজ সংলগ্ন কানুপুরের মৃত শুশিল সুত্রধরের দুই ছেলের দোকানের কাঠের তৈরি খাট,সোকেচ,সোফা সেট সহ অন্যান্য মালামাল লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা। গড়চৈতন্যপুরে চন্দন চন্দ্র কর্মকার জানান আমাদের সহ দুই কাকার বাড়ি ভাংচুর এছাড়াও পাড়ার অনেকেরই কামারী কাজের লোহার জিনিস পত্র লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা।
কলেজ ষ্টেশনের নিরাঞ্জন চন্দ্র রায় জানান অটো চাউল কলে আগুন ও গুদামে রাখা ধান চাল লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা।এ দিকে হরিখালী বাজারে হিন্দুদের ৪টি মুদি ও কসমেটিক দোকানের মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়াও বিভিন্ন গ্ৰামের বেশ কিছু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে আর যাতে ক্ষয়ক্ষতি না হয় সে কারণে উপজেলার প্রায় গ্ৰামের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ঘরবাড়ি নিরাপদ ও নিজেদের সম্পদ সুরক্ষায় রাত জেগে দলবদ্ধ হয়ে পাহাড়া দিচ্ছেন।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের সাথে মতবিনিময় করেন উপজেলা ও ইউনিয়নের বিএনপির নেতৃবৃন্দ। বিএনপির নেতৃবৃন্দ জানান, আমরা একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকির ভাই এর নির্দেশ অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সান্তনা দেওয়া সহ আশ্বস্ত করেছি এই দেশ আপনার আমার সবার তবে আর কোন দুষ্কৃতিকারীরা অপকর্ম করতে এলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।