সোনাতলায় ৯হাজার পরিবার পানিবন্দিঃ ৪৮০হেঃ জমির পাট নিমজ্জিত
গত এক সপ্তাহে বৃষ্টি ও উজান থেকে ধেয়ে আসা পানিতে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের ৯হাজার পরিবার পানিবন্দি। ফলে বন্যা কবলিত এলাকায় নৌকার ইঞ্জিনের শব্দে ঘরের বাহিরে আসে লোকজন ত্রাণের জন্য।
এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস জানিয়েছেন ৫০ মেঃটন চাল বরাদ্দ আছে তবে বন্যা কবলিত এলাকায় ৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং ৮টি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক সেবায় দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে বন্যা কবলিত এলাকায় ১০মেঃটন চাল ও ২লাখ টাকা বন্যা দুর্গতদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
বন্যা কবলিত ইউনিয়ন তেকানীচুকাইনগর,পাকুল্যা,মধুপুর ও জোড়গাছা। এসব ইউনিয়নের ২০টি গ্ৰামের ৯হাজার পরিবারের ৩১হাজার ৫শত৩২জন মানুষ পানি বন্দি।
উল্লেখ্য গ্ৰাম ভেকোনেরপাড়া,দাউদের পাড়া,চুকাইনগর,খাবুলিয়া,মুসার পাড়া,পূর্ব সুজাইতপুর,খাটিয়ামাড়ি সহ কুড়িটি পরিবার লড়াই করছে বন্যা পানির সাথে।
এদিকে বন্যা কবলিত এলাকায় গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি বাড়ির প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেমন খাট,চৌকি সহ সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে চরম কষ্টের মধ্যে রয়েছে। অপরদিকে গবাদি পশু ও ছাগল নিয়েও রয়েছে বিপাকে।
যদিও গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত এলাকায় শুকনা খাবার (চাল,ডাল,চিরা,লবন,তেল,রশুন, মোমবাতি,দিয়াসালাই,খাবার স্যালাইন) সহ ত্রাণ সামগ্রীর প্যাকেট ৬০০শত বানভাসি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে,পাকুল্যা ইউনিয়নের চরাঞ্চলের কয়েকটি গ্ৰামের প্রায় লোকজন দিনরাত বন্যার পানির সাথে করেছেন যুদ্ধ। তবে বন্যা কবলিত এলাকায় বিদ্যালয় গুলোতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে।
খাটিয়ামারির মোকলেছুর রহমান বলেন তাদের সহ ওই গ্ৰামের প্রতিটি বাড়িতেই পানি উঠেছে।পানি উঠায় ঘরের আসবাবপত্র ঘরের চালের তীরের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে তবে রাতে সাপ পোকামাকডের ভয়ে ঘুম হয়না। আঃ লতিফ জানান,সংসারের প্রয়োজনীয় চকি,সোকেচ সহ প্রায় কাঠের জিনিসপত্র দির্ঘদিন পানির নিচে থাকায় নষ্টের পথে।
খাবার চাল থাকলেও জ্বালানীর সংকটে রান্নার অভাবে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া হচ্ছে না। এতে করে একরকম না খেয়ে দিন অতিবাহিত করতে হচ্ছে আমাদের। এদিকে তারাজুল ইসলাম জানান এ এলাকায় শত শত বিঘা জমির আবাদি পাট পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ওই এলাকার কৃষক। তবে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষিবিদ ও কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানিয়েছে এবার ১৫৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হলেও ৪৮০হেক্টর জমির জমির পাট বন্যাল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।