বিকাশ চন্দ্র স্বর্নকার্র, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার সোনাতলায় অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে কসাইয়ের দা দিয়ে দুজনকে কুপিয়ে জখম করেছে পাগল প্রকৃতি এক যুবক। এঘটনায় ওই যুবকে স্থানীয় জনতা গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৫ই এপ্রিল সোমবার সকাল সাত টায় পৌর এলাকার রেলগেট মিন্টু কসাইয়ের মাংসের দোকানের সামনে।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। আহতরা হলেন, পৌর এলাকার লাহিড়ী পাড়া গ্রামের মৃত আফছার আলী প্রধানের ছেলে মো: লাল মিয়া প্রধান(৫৩) ও সদর ইউনিয়নের মন্ডমালা গ্রামের আব্দুল মফিজের ছেলে মোনারুল ইসলাম (৪২)।
লাল মিয়ার অবস্থা বেগতিক এবং মোনারুলের অবস্থা কিছুটা খারাপ হওয়াই এদের দুজনকে কর্মরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার হাসিব উদ্দিন জানিয়েছেন আহত দুজনের অবস্থাই খারাপ হওয়ার কারণে তাদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, পাগল প্রকৃতি ওই যুবকটি সকালে রেলগেট মিন্টু কসাইয়ের দোকান থেকে অতর্কিত ভাবে গরু জবাই করা দা নিয়ে প্রথমে দোকানে থাকা মোনারুল নামে কসাইকে চোট মারে পরে ভ্যান থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে লাল মিয়া নামে পান ব্যবসায়ীকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং অজ্ঞাত আরো একজনকে দা দিয়ে চোট মারার সময় স্থানীয় জনতা ওই পাগল প্রকৃতির যুবককে ধরে ফেলে।
এঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে গনধোলাই দেয় যুবককে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ওই যুবকে থানা নিয়ে যায়। এসময় সবাই বলা বলি করছে যুবকটি পাগল তাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। জানাযায় পাগল প্রকৃতির ওই যুবক উপজেলার করমজা গ্রামের মোজাফফর হোসেনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। ওই যুবকের মা জোবেদা বেগম জানিয়েছেন, আমার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম এসএসসি পাশ এবং গত তিন বছর আগে সে বিয়েও করেছে।
তবে তিনি আরো জানান মাঝে মাধ্যেই ছেলের মাথার চরম সমস্যা হয় সে সময়ে পাগলামির পরিমাণ বেড়ে যায় কিন্তু আজ পর্যন্ত ছেলেকে উন্নতমানের কোনো ডাক্তারকে দিয়ে চিকিৎসা করাননি ওই পরিবার।