এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা)
খুলনার পাইকগাছায় আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে যাতায়াতের রাস্তায় ঘেরা বেড়া দিয়ে ৫ টি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ সদস্য ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার লতা ইউনিয়নের তেঁতুলতলা গ্রামে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়রী হয়েছে। অবরুদ্ধ পরিবারের কোমলমতি শিশুরা বিদ্যালসহ কোথাও বের হতে পারছে না। এলাকাবাসি সহ অবরুদ্ধ পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
থানার অভিযোগ ও ভুক্তভোগী পরিবার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার লতা ইউপির তেতুলতলা গ্রামে তেতুলতলা মৌজায় ৬ টি শরীক শান্তি পূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছে। কিন্ত তাদের ওয়ারেশগন বর্তমানে শান্তিপূর্ণ ভোগদখলে সমস্যার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। বসতবাড়ির পাশ দিয়ে সরকারী রাস্তা চলে যাওয়ায় ভিতরে বসবাসকারীদের রাস্তায় উঠতে সামনের বসবাসকারীরা ঘেরা বেড়া দিয়ে তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছে। যে কারণে ভিতরে বসবাসকারী গোবিন্দ ঢালী বাদী হয়ে রাস্তা উন্মুক্ত রাখার দাবীতে উপজেলা নির্বাহী আদালতে মামলা করেন।
এ মামলায় বিজ্ঞ আদালত রাস্তায় চলাচলে কোন প্রকার বিঘ্ন সৃষ্টি না করার আদেশ প্রদান করেন এবং ওসি পাইকগাছাকে নিশ্চিত করার জন্য আদেশ দেন। কিন্ত আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে ইউপি সদস্য বিজন হালদার ও পুলিশ সদস্য সুকৃতি ঢালী লোকজন নিয়ে শনিবার দুপুরে ঘেরা বেড়া দিয়ে ৫ টি পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।
অবরুদ্ধ পরিবারের কেউ বাইরে আসতে পারছে না। এ বিষয় ইউপি সদস্য বিজন হালদার জানান, আমি জমি জরিপের সময় ছিলাম কিন্তু আমি রাস্তায় ঘেরাবেড়া দেয়নি। পুলিশ সদস্য সুকৃতি ঢালী জানান, রাস্তা আমার জমিতে তাই আমি আমার জমিতে ঘেরাবেড়া দিয়েছি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার ঘেরা বেড়া উচ্ছেদের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।