এনামুল হক রাশেদী, চট্টগ্রাম থেকেঃ
‘কলম একাডেমি লন্ডন’ কতৃক জনপ্রিয় কবিদের কবিতা পাঠ, গুনিজন সম্বর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে অমর একুশে বইমেলা’২৪ সিআরবি’র (শিরীষ তলা) একুশ মঞ্চে।
১৫ ফেব্রুয়ারি’২৪ ইং বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় কলম একাডেমি লন্ডনের নান্দনিক সৃজনশীল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলম একাডেমি লন্ডন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কবি করুণা আচার্য। বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় সংবাদ পাঠিকা কোহিনুর আক্তার শাকি ও আবৃত্তি শিল্পী প্রতিমা বড়ুয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে (ভার্সুয়াল) উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন কলম একাডেমি লন্ডন’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক কবি, শিক্ষাবিদ,গবেষক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম হাবিবী।
প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.শিরীণ আখতার। প্রধান আলোচক ছিলেন কলম একাডেমি লন্ডন কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক লেখক ও গণমাধ্যমকর্মী মোহাম্মাদ কামরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক একুশে পদক প্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড.জিনবোধি ভিক্ষু। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড.মোঃ ফরিদুদ্দিন ফারুক, আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসান মোঃ রোমান, কবি ও গবেষক এবিএম ফয়েজ উল্লাহ, দৈনিক আজাদীর সহ সম্পাদক প্রদীপ দেওয়ানজী, কলম একাডেমি লন্ডন কেন্দ্রীয় কমিটির সাহিত্য সম্পাদক কুতুবউদ্দিন বখতেয়ার, উপদেষ্টা অধ্যাপক জিতেন্দ্র লাল বড়ুয়া, ফজলুল কাদের, আরিফুর রহমান আরিফ, এড.সুসেন কান্তি দাশ, কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যান সম্পাদক মোহাম্মদ কায়েদে আজম, সহ সাহিত্য সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ ইলিয়াস, কবি আরিফ চৌধুরী, অধ্যক্ষ সেলিমমুজ্জামান, সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রতিনিধি ফরহাদ হোসেন পলাশ।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম নগর, বৃহত্তর চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা হতে আগত কবিরা তাদের স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ডঃ শিরীণ আখতার বলেন, সমাজে গুণীকে সম্মান দিলে এবং এই ধারা চলমান থাকলে এই ঘুণে ধরা সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন হবে। সমাজে অবক্ষয় রোধ হবে এবং মানুষ সৃজনশীল কর্ম কান্ডের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে সমাজকে জাগ্রত করবে এই সমাজে শান্তি ফিরে আসবে,সমাজ এগিয়ে যাবে।
প্রধান আলোচক মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, একজন কবির জাগতিক কোন সম্পদ থাকে না ন্যায়ের প্রশ্নে কবিরা কোন কালেই আপোস করেননা। কবিরা সব সময় মুক্ত চিন্তায় নিমগ্ন থাকেন। কবিরা অধরা অনুভূতি কে কবিতার শৈল্পিক অভিজ্ঞানে তুলে আনেন মননের নিভৃত নির্জনতায়। কবিরা তাদের কবিতার ভেতর দিয়ে সমাজ পরিবর্তনের চেষ্টা করেন এমন কি তারা গভীর ধ্যানে প্রগাঢ়ভাবে শব্দের কৌশলে কবিতাকে বিন্যাস করেন ভাষার কায়ায়, অপ্রমেয় ব্যাপ্তির অভিনবত্বের ইঙ্গিতে তার নিজস্ব ব্যঞ্জনায়। কবিরা নিজের মনন চিন্তা উজ্জ্বল আলোয় সুন্দরের তপস্যায় সব সময় তারা মগ্ন থাকেন। তিনি কলম একাডেমি লন্ডনের ১৯ দফা দাবির যৌক্তিকতা তুলে ধরে তা বাস্তবায়নের জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে কবি করুণা আচার্য এই সুন্দর আয়োজনের জন্যে এবং সকল দর্শক শ্রোতা সহ সকল কে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানান,কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম নগর, বৃহত্তর চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা হতে আগত কবিরা তাদের স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন। অনুষ্ঠানে “অক্ষরে অমরতা”গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।