বিকাশ স্বর্নকার,বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার সোনাতলায় যমুনার তীরবর্তী চরঞ্চল সহ পুরো উপজেলা জুরে গত প্রায় ১০দিন ধরে শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।ফলে অনেকেই খরকুটা জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। হিমেল হাওয়ায় বোরো আবাদ যোগ্য জমিতে কাজ করাই দায় হয়ে পড়েছে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষক।
এদিকে খোলা অটোভ্যান গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন তাদের দুর্ভোগ বেড়েছে বহুগুণে। উপজেলা হাসপাতালে খোজ নিয়ে দেখা গেছে, শিশু ও বয়স্করা ঠান্ডিজনিত শ্বাসকষ্ট ও নিমুনিয়া রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।বিশেষ করে প্রচন্ড কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় উপজেলায় বসবাসকারী লোকজন গবাদিপশু নিয়ে কষ্টের মাঝে রয়েছে। এদিকে ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় বেচা বিক্রির ধুম পড়েছে গরম পোশাকের দোকানে জানিয়েছেন দোকানীরা।
তবে গরম কাপড়ের দামও তুলনামূলক অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে দোকানীর জানান ক্রেতারা। তবে হঠাৎ গত ২২শে জানুয়ারি সোমবার শৈত্যপ্রবাহ ৯.১ডিগ্ৰী হওয়ায় জেলা অফিসের নির্দেশে ২দিনের জন্য স্কুল বন্ধ জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা অফিস। তবে আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানা গেছে পুরা জানুয়ারি মাসজুড়ে শীতের প্রকোপ থাকবে।
এদিকে স্থানীয় অনেক প্রবিনরা জানিয়েছেন ইতিপূর্বে আমরা এই এলাকায় এতটা ঠান্ডা অনুভব কখনো করিনি তাই পরিস্থিতি মোকাবেলার পূর্ব প্রস্তুতিও অনেকের ছিল না।পাকুল্লা চরঞ্চলের বিপ্লব মন্ডল বলেন, রাতের বেলায় ঘনকুয়াশায় যাতায়াতের রাস্তা ঠিক মতো চোখে পড়েনা এবং কয়েক হাত দূরে কি আছে বুঝায় মুশকিল। তিনি আরো বলেন সন্ধ্যায় থেকে সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা বাতাসে হাতে পায়ে কাঁপুনি ধরে। আড়িয়াঘাটের অটোভ্যান চালক মশিউর রহমান জানান, রাতে এবং খুব সকালে গাড়ি চালানোর সময় হ্যান্ডেল ধরে রাখা যায় না রাতে ঘনকুয়াশা আর সকালে প্রচন্ড শীত একারণে রোজগার একেবারেই কমে গেছে। তবে তিনি চরম দুশ্চিন্তায় আছেন এভাবে ক’দিন চলবে।
খামারি নির্মল ঘোষ জানান,এ শীতে ও কুয়াশায় বিদেশি জাতের গাভী তার বাছুরটির ঠান্ডা লেগে গেছে এবং গাভীর দুধ কমে যাচ্ছে। এই অবস্থা থাকলে পশু পালন করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। বয়ড়া কারিগড়ি স্কুল এ্যন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আঃ ওয়াহেদ বলেন,শীতের তীব্রতায় শিক্ষাথীর উপস্থিতি অর্ধেকে নেমে এসেছে।
সোনাতলা উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ শারমিন কবিরাজ বলেন,শীতজনিত রোগীর সংখ্যা এখন মুটামুটি বাড়তি।