বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়া সোনাতলায় শীতের তীব্রতার কারণে নাজেহাল হয়ে পড়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে শিক্ষার্থীরা। এমন চিত্র উপজেলার অনেক বিদ্যালয়ে লক্ষ্য করা গেছে এবং শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও একেবারেই কমে গেছে।
অপরদিকে হিমেল হাওয়া ও ঘনকুয়াশায় ঢাকা থাকে রাস্তাঘাট দিনান্তেও মিলছে না সূর্যের দেখা। এদিকে উপজেলার গাড়ামাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গেলে খুদে শিক্ষার্থীরা শীতে গরম পোশাক ও পায়ে জুতা,সান্ডেল না থাকায় যবুথবু অবস্থায় ক্লাসে বসে থাকতে দেখা গেছে। ওই স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী শাহিনুর বানু তার অভিভাবক সামছুল হক জানান, এবারের শীতের তীব্রতা প্রচন্ড এতে করে আমরা কাবু হয়ে পরেছি এবং আমরা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে বাচ্চাদের শীত নিবারণের পোষাক ঠিকমতো কিনে দিতে পারছিনা।
স্থানীয় রমজান আলী বলেন, গ্রামের অধিকাংশ লোকেরা অতিদরিদ্র কেউবা শ্রমিক হওয়ায় সংসার চালাতেই হিমশিম খাচ্ছে। বড়রা বিভিন্ন রকমের গরম কাপড়ে শীত নিবারন করলেও শিশুদের দিকে তেমন নজর নেই। ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহিদুল বারী জানান,পাকা মেঝেতে শিশুদের পায়ে জুতা সেন্ডেল না থাকায় ঠান্ডাতে তাদের শরীর আরো নাজেহাল হয়ে পরছে। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় অনেক শিক্ষার্থীর অভিভাবক তাদের শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছে না।
তবে আমরা বাড়ি বাড়ি ঘুরে শিশুদের স্কুলমুখী করার চেষ্টা করছি। গাড়ামাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জুলফিকার আলী জানান,গত ক’দিন ধরে প্রচন্ড শীতে শিশুরা স্কুলে আসাই ছেড়ে দিয়েছে। তবে স্কুলে একশত দশজন শিক্ষার্থী ভর্তি থাকলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। কম উপস্থিতির বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান বিদ্যালয়ের আশপাশে শ্রমজীবী ও নিম্ম আয়ের লোকজনই বেশি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আসফার সায়মা বলেন, আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম তবে উপজেলা পরিষদের পক্ষে থেকে ওই স্কুলের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শীতের বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।