বিকাশ চন্দ্র স্বর্নকার, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
হিমেল বাতাস ও শীতের তীব্রতার পাশাপাশি রাতে কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে থাকে পুরো এলাকা।গত দুই/তিনদিন ধরে বগুড়ার সোনাতলায় সূর্যের দেখা নেই বললেই চলে। এদিকে প্রচন্ড শীতের কারণে ঘর থেকে কাজে বের হতে পারছেন না গ্ৰামাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ। এ অঞ্চলের মানুষের পাশাপাশি গবাদীপশু-গুলো কনকনে শীত আর হিমেল হাওয়ায় কাহিল হয়ে পড়েছে। ফলে এসব গাবাদীপশু নিয়ে বিপাকে খামারি সহ কৃষকরা। প্রকৃতির এমন প্রতিকূল আবহাওয়ায় জেকে বসেছে গবাদি পশুগুলোর ওপর।
এদিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নুসরাত জাহান লাকি জানান,প্রচন্ড শীতেও প্রাণীদের খুব একটা বেশি আক্রান্ত হওয়ার খবর আমরা এখনো পাইনি তবে খামারীদের শুকনো খাবার,গোয়ালে তাপের ব্যবস্থা রাখাসহ পশুর গায়ে সব সময় চটের বস্তা জড়িয়ে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। এদিকে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়,প্রায় কৃষকের বাড়িতে ও খামারীরা গরুগুলো গোয়াল ঘরে বেঁধে রেখেছেন। প্রচন্ড শীতের কবল থেকে রক্ষা করতে পশু গুলোকে চটের বস্তা জড়িয়ে দেয়া সহ ছাগলদের পুরানো কাপড়ে জরিয়ে রাখা হয়েছে।
পাকুল্লার বিপুল সাহা বলেন,হিমেল হাওয়ার সাথে ঠান্ডা বেশী হওয়ায় গরুগুলোকে গোয়াল ঘরের বাইরে বের করা মুস্কিল তাই চটের বস্তা দিয়ে গরুর গাঁ জরিয়ে রাখা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ সুমন ইসলাম বলেন, শীতের কারণে বর্তমানে হাসপাতালে ডাইরিয়া ও শ্বাসকষ্ট জনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আয়শা সিদ্দিকা জানান,এ উপজেলায় দুস্থ ও মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অসহায় শিশুদের মাঝে প্রায় চারহাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।