মোঃ রিয়াজুল সোহাগ, নোয়াখালী থেকেঃ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ভাগ্নের লোহার রডের আঘাতে ফুফার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয় এলাকাবাসী। নিহত মো. হোসেন (৬৬) উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল খালেক মিয়ার বাড়ির বাসিন্দা। গত রোববার দুপুরে আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
এর আগে, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল খালেক মিয়ার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল খালেক মিয়ার বাড়ির জাহিদ হাসান (১৯) আহসান উল্যাহ সাজু (২৬), আনোয়ার হোসেন (৬৫), মেহেদী হাসান (২১) ও উপজেলার মুছারপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি সওদাগর বাড়ির মো. ইসমাইল (৩৩)।
নিহত বৃদ্ধার ছেলে মোতাহের হোসেন জানায়, তারা তার নানার বাড়িতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে। তার মামাতো বোনের জামাই মো. ইসমাইল (৩৩) মোবাইলে তার সম্বন্ধি আহসান উল্যাহ সাজু (২৬)কে জানায় তার ভাই মেহেদী হাসানের পারিবারিক বিষয়ে তার শ্বশুরবাড়িতে বিভিন্ন কটু কথা বলে আমার মা রোকসানা বেগম। এরপর আহসান উল্যাহ ও তার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি যাচাই-বাছাই না করে বাড়ির উঠানে প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকে। তখন তাদের কাকা আব্দুর রহিম বাধা দিতে গেলে তাকে তার ভাতিজারা হত্যার হুমকি দেয়।
এ ঘটনা নিয়ে বাড়ির উঠানে শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা দেখা দেয়। একপর্যায়ে আমার বাবা মো. হোসেন বিষয়টি মীমাংসার জন্য ঘটনাস্থলে গেলে তার ভাগ্নে জাহিদ হোসেন হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে কপালের মাঝের বাম পার্শ্বে পড়ে গুরুতর জখম হয়। আরেক ভাগ্নে আহসান উল্যাহ সাজু পিছন থেকে বাবার পিঠে সজোরে লাথি মারে। এতে তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মোতাহের হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। অপরদিকে, রোববার সকালের দিকে ভিকটিমের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।