লামা প্রতিনিধিঃ
সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার ইফতার আলোচনা সভায় লামায় ভূঁইফোড় সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আবারো বিবৃতি দিয়েছেন লামা সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। রোববার বিকেল ৪টায় প্রেসক্লাব হলরুমে লামা সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার আহ্বায়ক কমিটির উদ্যােগে ইফতার মাহফিল আলোচনা সভায় বক্তারা চিহ্নিত কয়েকজন ভূঁইফোড় সাংবাদিককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামণা করেছেন।
এর আগে ১৪ এপ্রিল অপ-সাংবাদিকতা রোধে নেতৃবৃন্দরা আরো একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, লামা উপজেলার বাহিরে এবং পৌরসভার গুটিকয়েক নেশাখোর, লম্পট, মাতাল চোর প্রকৃতির লোক; গলায় সাংবাদিকতার কার্ড লাগিয়ে গণ চাঁদাবাজি করে চলছে(!)। তাদের এহেন নির্লজ্জ আচরণে বিভিন্ন মহল অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানান, সাংবাদিক নেতারা। চিহ্নিত এই কয়জনের টিম প্রধান একজন যাযাবর প্রকৃতির নেশাখোর।
লামা কোর্টের রাইটার এই ব্যক্তি এখন এলএলবি দাবি করে একই সাথে বিভিন্ন মানবাধিকার কমিটির নেতা পরিচয় দেয়। সে বিভিন্নস্থানে লামা প্রেসক্লাবের সভাপতি পরিচয় দেয়। কয়েকজন বখাটে নিয়ে রাতদিন বিভিন্ন ইস্যুতে চাঁদাবাজি করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, সাাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার উপদেষ্টা প্রেসক্লাব সভাপতি প্রিয়দর্শী বড়ুয়া, সেক্রেটারী মো: কামরুজ্জামান, সাবেক সেক্রেটারি মুহাম্মদ কামালুদ্দিন, আহবায়ক সাহাব উদ্দিন, সদস্য সচিব ও রিপোর্টার্স ক্লাব সভাপতি তৈয়ুব আলী, সাংবাদিক ফোরাম সভাপতি ইউছুপ মজুমদার, মফস্বল সাংবাদিক ইউনিট সভাপতি মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের যুগ্ন সম্পাদক মো: ফরিদ প্রমূখ।
মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় আলোচ্য বিষয়ে প্রস্তাব রাখা ও ভূঁইফোড় সাংবাদিকদের তালিকা প্রদান করে প্রশাসনকে অবহিত করারসহ অচিরেই সাংবাদিক সংস্থার পুর্নাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করে সাধারণ নিরাবাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।