স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঢাকার ধামরাই উপজেলাবাসীকে পবিত্র মাহে রমজান ও বাংলা শুভ নববর্ষ-১৪৩০ বঙ্গাব্দের শুভেচ্ছা জানালেন ধামরাই উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সাংবাদিক রনজিত কুমার পাল বাবু।
শুভেচ্ছা বার্তায় ধামরাই উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সাংবাদিক রনজিত কুমার পাল বাবু বলেন-জাগতিক নিয়মের পথপরিক্রমায় বছর শেষে আমাদের মধ্যে আবার নতুন বছরের আগমন ঘটে। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন বছরের আগমন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ এর আগমন উপলক্ষে ধামরাই উপজেলা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে ধামরাই উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ সহ সবাইকে জানাই নতুন বছরের আন্তরিক শুভেচ্ছা।
শুভ নববর্ষ-১৪৩০ বঙ্গাব্দ। এ’সময় মুসলমানদের সিয়াম সাধনার পবিত্র মাহে রমজান মাস চলছে। আমি সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেকে পবিত্র রমজানের মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
শুভেচছা বার্তায় তিনি আরো বলেন-এ ভূখন্ডের হাজার বছরের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং কৃষ্টির বাহক এদেশের বাঙালি জনগোষ্ঠী।
এ’জনগোষ্ঠী বিভিন্ন ধর্মে-বর্ণে বিভক্ত হলেও ঐতিহ্য ও কৃষ্টির জায়গায় সব বাঙালি এক এবং অভিন্ন। নানা ঘাত-প্রতিঘাতে অনেক ঐতিহ্য হারিয়ে গেলেও পহেলা বৈশাখ বাংলা শুভ নববর্ষ উদযাপন এখনও টিকে আছে, আশা করছি অনন্তকাল টিকে থাকবে।
সারা বছরের দু:খ,কষ্ট,গ্লানি-হতাশা ভুলে এইদিনে সব বাঙালি নতুনের আনন্দ -উদ্দীপনায় মেতে উঠেন। এসো হে বৈশাখ-এসো এসো-মুছে যাক গ্লানি,ঘুচে যাক জরা,/অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা- কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী-এই গান গেয়ে আমরা আবাহন করি নতুন বছরকে।পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব আবহমান কাল ধরে বাংলার গ্রামগঞ্জে আনাচে-কানাচে এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে। গ্রামীণ মেলা,হালখাতা, বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা, পান্তা-ইলিশ এর আয়োজন ছিল বর্ষবরণের মূল অনুষঙ্গ।
ব্যবসায়ীরা আগের বছরের দেনা-পাওনা আদায়ের জন্য আয়োজন করতেন হালখাতা উৎসবের। গ্রামীণ পরিবার গুলো মেলা থেকে সারা বছরের জন্য প্রয়োজনীয় তৈজসপত্র কিনে রাখতেন। গৃহস্থ বাড়িতে রান্না হতো সাধ্য মতো উন্নত মানের খাবারের। নতুন বছর উজ্জ্বল হয়ে উঠুক-নতুন আলোয়,নতুন আশায়। এই প্রত্যাশায়
সবাইকে জানাই ১৪৩০ বঙ্গাব্দের শুভ নববর্ষের প্রীতি ও শুভেচ্ছা।