এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা):
খুলনার পাইকগাছায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখল করতে গেলে বাঁধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় ২ গৃহবধু রক্তাক্ত জখম হয়েছে। এ সময় মাকে বাঁচাতে গিয়ে ১৪ বছরের বালক এনামুল আহত হয়। একপর্যায়ে স্থানীয়রা এসে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে কপিলমুনি হাসপাতালে ও পরে তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলার কপিলমুনির পার্শ্ববর্তী গদাইপুর ইউপির হিতামপুর বিল মৌজায়।
আহত নাজমা বেগমের স্বামী জমিরুদ্দীন শেখ জানান, রাড়ুলী গ্রামের মৃত লিয়াকত গোলদারের পুত্র মিঠু গোলদার, মৃত নওয়াব গোলদারের পুত্র আনিচ গোলদার ও মৃত নেছার শেখের পুত্র মনিরুল ও আনারুল শেখ গংদের সাথে হিতামপুর মৌজায় জায়গা জমির এওয়াজ সুত্রে দখল বিষয় নিয়ে দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা করি যার নং ৩৪০/২৩ মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। এতে তড়িঘড়ি করে আমাকে দখলচ্যুতি ঘটানোর পায়তারা করলে আমি আদালতের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ফৌজদারি আদালতে এম আর ২৮৪/২৩ নং ধারা ১৪৪ ধারায় মামলা করি।
বিজ্ঞ আদালত নিষেধাজ্ঞা মামলায় উভয় পক্ষকে স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশনাসহ থানা ওসিকে নির্দেশ প্রদান করেন। এমতাবস্থায় আদালতের আদেশ অমান্য করে প্রতিপক্ষ মিঠু গোলদার গং শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে আমার ভোগ দখলীয় জমিতে বাঁশ খুটি সহ লোকজন নিয়ে সেখানে ঘর বাঁধতে যায় তারা। আমরা ব্যবসার কাজে বাইরে অবস্থান করায় আমার স্ত্রীকে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানাতে বলি। আমার স্ত্রী থানা পুলিশকে জানায় এবং জমির দিকে এগিয়ে যায়। পুলিশ আসতে দেরি হওয়ায় আমার ও আমার ভাইয়ের স্ত্রীসহ ১৪ বছরের ছেলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের বাঁধা দিতে গেলে এ হামলার শিকার হয় তারা। পরে পুলিশ এসে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।
এতে করে স্ত্রী নাজমা ও বড়ভাইয়ের স্ত্রী সাজেদা বেগম রক্তাক্ত জখমী অবস্থায় বর্তমানে তালা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ছেলে এনামুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এওয়াজ সুত্রে আমাদের ভোগ দখলীয় জমি আমাদের নামে ডিপি ৪১২ নং খতিয়ানে ০.০৪২ একর চুড়ান্ত রেকর্ড হইয়া প্রকাশিত হয় এবং দীর্ঘদিন যাবৎ ভোগদখলে আছি। উক্ত জমিতে মাছ ও ধান চাষ করে আসছি। এমতাবস্থায় তারা বিভিন্ন সময় আমাদেরকে দখলচ্যুতির হুমকি দিয়ে আসছিল। সেকারণে আমরা আদালতে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করি। কিন্তু শনিবার প্রতিপক্ষরা আদালতের আদেশ অমান্য করে সেখানে বাসা তৈরি করতে যায়। এ বিষয়ে চেষ্টা করেও অভিযুক্তদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে থানা ওসি সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ভুক্তভোগী মনিরুদ্দীন ও তার পরিবার।