• রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
বিএনপির বহিষ্কৃত নেতার ছেলের নেতৃত্বে বাস কাউন্টারে হামলা-লুটপাট, আহত ১০, থানায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ জগন্নাথপুর বাজারে আইরিন ভিসা কনসালটেন্সি ফার্ম এর উদ্বোধন রাজশাহীতে চাঁদাবাজি ও দখলদারত্ব বন্ধে কঠোর হুশিয়ারি যুবদল নেতা রবি’র জগন্নাথপুরের নলজুর নদীর বেইলী ব্রীজটি এখন মরন ফাঁদ, ভারী যানচলাচলে ব্যবস্থা নিচ্ছেনা কৃর্তপক্ষ ডুমুরিয়ার চুকনগর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন স্বামি দাবি করে বাঁশখালীতে তরুণীর অনশন নিয়ে ধুম্রজাল আমতলীতে পাগলা কুকুরের কামড়ে ৩২ জন আহত সেনবাগে ইদিলপুর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত বাঁশখালীতে ৬৪৫ বোতল বিদেশী মদ জব্দ, গাড়ি সহ গ্রেফতার-০৩ রেড ব্রিজ স্কুল এন্ড কলেজের বার্ষিক ক্লাশ পার্টি ও জমজমাট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন

শুভ মহালয়া কাউকে বলবেন না

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বিজয় চন্দ্র সরকারঃ

ওটা বলতে নেই। মহালয়ার সঙ্গে দুর্গাপূজোরও আদৌ কোনো
সম্পর্ক নেই। যাঁরা মা দুর্গার ছবির সঙ্গে ‘মহালয়া’ লিখছেন তাঁরা নিজেরাও জানেন না কত বড় ভুল করছেন।

সকালে রেডিওতে যে মহালয়া শোনেন সেটা মহালয়া নয়, “মহিষাসুরমর্দিনী” নামের একটি অনুষ্ঠান। এর সঙ্গে মহালয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। এই দিনে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার হয়, এই পর্যন্তই।

মহালয়া কথাটি এসেছে ‘মহত্‍ আলয়’ থেকে। হিন্দু ধর্মে মনে করা হয়, পিতৃপুরুষের আত্মা এই সময়ে পরলোক থেকে ইহলোকে আসেন জল ও পিণ্ডলাভের আশায়। প্রয়াত পিতৃপুরুষদের জল-পিণ্ড প্রদান করে তাঁদের তৃপ্ত করা হয়।

কেন এই দিনেই তাঁরা আসেন? এর সঙ্গে মহাভারতের যোগ আছে। মহাভারতে বলা হয়েছে যে, মহাবীর কর্ণের আত্মা স্বর্গে গেলে সেখানে তাঁকে খেতে দেওয়া হল শুধুই সোনা আর ধনরত্ন। “ব্যাপার কী?” কর্ণ জিজ্ঞাসা করলেন ইন্দ্রকে। ইন্দ্র বললেন, “তুমি সারাজীবন সোনাদানাই দান করেছো, পিতৃপুরুষকে জল দাও নি।”

কর্ণ বললেন, “এতে আমার কী দোষ? আমার পিতৃপুরুষের কথা তো আমি জানতে পারলাম যুদ্ধ শুরুর আগের রাতে। মা কুন্তী আমাকে এসে বললেন, আমি নাকি তাঁর ছেলে। তারপর যুদ্ধে ভাইয়ের হাতেই মৃত্যু হলো। পিতৃতর্পণের সময়ই তো পেলাম না।”

ইন্দ্র বুঝলেন, কর্ণের দোষ নেই। তাই তিনি কর্ণকে পনেরো দিনের জন্য মর্ত্যে ফিরে গিয়ে পিতৃপুরুষকে জল ও অন্ন দিতে অনুমতি দিলেন। ইন্দ্রের কথা মতো এক পক্ষকাল ধরে কর্ণ মর্ত্যে অবস্থান করে পিতৃপুরুষকে অন্নজল দিলেন। তাঁর পাপস্খলন হলো এবং যে পক্ষকাল কর্ণ মর্ত্যে এসে পিতৃপুরুষকে জল দিলেন সেই পক্ষটি পরিচিত হল পিতৃপক্ষ নামে।

সেই থেকেই হিন্দুদের মধ্যে তর্পণের প্রথা চালু হয়। পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মের তিথি হিসেবে নির্দিষ্ট হওয়ায় একে শুভ বলতে নেই। আপনার প্রিয়জনের শ্রাদ্ধের দিন কেউ যদি আপনাকে “হ্যাপি আপনার ঠাকুরদার শ্রাদ্ধ” বা “শুভ শ্রাদ্ধ” বলে, আপনার কেমন লাগবে?

এমন না বুঝেই তো আমরা কতকিছু বলি। এবার বুঝলেন তো? এর পর থেকে এই দিনটিতে আর “শুভ মহালয়া” বলবেন না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ