এনামুল হক রাশেদী, বাঁশখালী প্রতিনিধি-(চট্রগ্রাম):
চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাজুল ইসলাম মুহুর্তেই সবাইকে শোকের সাগরে ভাসিয়ে চলে গেলেন আর কোনদিন না ফেরার দেশে। তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহী ওয়া ইন্না ইলাইহী রাজেউন)।
২৫ সেপ্টেম্বর’২৩ ইং সোমবার সকাল ১১টায় হঠাৎ অসুস্থতা অনুভব করলে তৎক্ষনাৎ তাঁকে চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কিছুক্ষন পর তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। তাজুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম চাঁপাছড়ি এলাকার ৮নম্বর ওয়ার্ডে।
অধ্যাপক তাজুল ইসলাম রাজনীতির মাঠের একজন সক্রিয় রাজনীতিবীদ। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের আপোষহীন ছাত্রনেতা মৃত্যুকালে তিনি বাঁশখালী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। তিনি একজন শিক্ষাবীধ হিসাবে রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথেও যুক্ত ছিলেন। পশ্চিম বাঁশখালী স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি। বাঁশখালীর রাজনীতির সক্রিয় মাঠে তিনি একজন পরিচিত মুখ। বাঁশখালীর সাংসদ আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর ব্যক্তিগত সহকারীও ছিলেন তিনি।
মৃত্যুকালে অধ্যাপক তাজুল ইসলাম স্ত্রী, এক ছেলে, দুই কন্যা রেখে গেছেন। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে তাঁর রাজনৈতিক কর্মি, নেতৃবৃন্দ ও গুনগ্রাহীরা হতবিহ্বল হয়ে পড়েন। মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে রাজনৈতিক নেতা কর্মি, বন্ধু-স্বজন’রা শোক ও সমবেদনা জানিয়ে এবং তাঁর রুহের মাগফেরাত কামনা করে সোস্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। আজ সোমবার বিকাল ৫ টায় তাঁর নিজ ইউনিয়ন বাহারছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম বাঁশখালী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে নামাজে জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়েছে।
এ দিকে তার মৃত্যুতে বাঁশখালীর সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল গফুর, উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী মুহাম্মদ গালীব সাদলী, ভাইস-চেয়ারম্যান রেহেনা আক্তার কাজেমী, বাঁশখালী পৌর মেয়র এড. তোফাইল বিন হোসাইন ও বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ শোক জানিয়েছেন।