বগুড়া প্রতিনিধিঃ
র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া অভিযানে, ৮৫ বছর বয়সী বৃদ্ধা’কে গলা কেটে হত্যা মামলার সন্দিগ্ধ আসামী মোঃ হেলাল উদ্দিন(৪৫) গ্রেফতার করেছেন।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) তারিখের রিপোর্টে জানাযায় যে,গত ২৬ আগস্ট অনুমান আড়াই ঘটিকার সময় বগুড়া জেলার সোনাতলা থানাধীন গাড়ামারা গ্রামস্থ মোঃ হেলাল উদ্দিন (৪৪), পিতা-মৃত কাশেম শেখ এর বসতবাড়ীতে তার ৮৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ জাহেরা বেওয়া, স্বামী-মৃত কাশেম শেখ, সাং-গাড়ামারা, থানা-সোনাতলা, জেলা-বগুড়া অজ্ঞাতনামা আসামী কর্তৃক গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হয়।
এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মৃত জাহেরা বেওয়ার বড় ছেলে মোঃ কামাল শেখ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে সোনাতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সোনাতলা থানার মামলা নং-১৬, তারিখ-২৭ আগস্ট ২০২৩ খ্রি. ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়। এ ঘটনায় বগুড়া জেলাসহ সারা দেশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং ঘটনাটি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। পুলিশ কর্তৃক ভিকটিমের ছেলের বউ মোছা: সকিনা বেগম(৪১), গ্রেফতার হয়।
এ ঘটনায় সিপিএসসি, বগুড়া ঘটনার শুরু হতেই ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং সন্দিগ্ধদের উপর ব্যাপক নজরদারী অব্যাহত রাখে। ঘটনাস্থলের আশপাশে বসবাসকারীদের সাথে ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সহিত সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে ঘটনার রহস্য ও আসামীদের মোটিভ উন্মোচনের চেষ্টা চালিয়ে যায়।
হত্যাকান্ডটির নেপথ্যে কোন পারিবারিক দ্বন্দ্ব রয়েছে কিনা বা শত্রুতামূলকভাবে অন্যকে ফাঁসানোর জন্য করেছে কিনা বা জায়গা জমি নিয়ে ভিকটিমের পরিবারের সাথে অন্য কারও ব্যক্তিগত শত্রুতা রয়েছে কিনা সবগুলো বিষয় বিবেচনায় রেখে ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখা হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ও ছায়াতদন্তে প্রাপ্ত কিছু তথ্যের সূত্র ধরে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে র্যাব সদর দপ্তর (ইন্ট উইং), ঢাকা এর সহযোগিতায় সিপিএসসি, বগুড়া জানতে পারে, উল্লেখিত হত্যা মামলার সন্দিগ্ধ একজন আসামী ভিকটিমের ছেলে মোঃ হেলাল উদ্দিন মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানাধীন ভূমদক্ষিণ এলাকায় অবস্থান করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে একই তারিখ ১৭.৫০ ঘটিকায় র্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ও র্যাব-৪, সিপিসি-৩, মানিকগঞ্জের একটি যৌথ আভিযানিক দল উল্লেখিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে সন্দিগ্ধ আসামী মোঃ হেলাল উদ্দিন(৪৫), পিতা-মৃত আবুল কাশেম, সাং-গাড়ামারা, থানা-সোনাতলা, জেলা-বগুড়াকে গ্রেফতার করে। ধৃত আসামীকে সোনাতলা থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।