০৬:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫

বালু উত্তোলনকালে ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালালেন বিএনপি নেতা

মো: ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী প্রতিনিধি
মো: ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী প্রতিনিধি

বালু উত্তোলনকালে ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালালেন বিএনপি নেতা

নোয়াখালীর সেনবাগে সরকারি খাস জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় হঠাৎ হানা দেন ম্যাজিস্ট্রেট। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সেনবাগ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাকায়েত লিটন পালিয়ে যান। পরে তাকে ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি। শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের গাজীরহাট স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দুদিন ধরে ওই এলাকায় সরকারি খাস জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিলেন অ্যাডভোকেট সাকায়েত লিটন। অভিযোগ পেয়ে সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন আক্তার সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাকায়েত লিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেখে দ্রুত সটকে পড়েন। প্রায় দুঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও তাকে আর পাওয়া যায়নি। এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ কয়েকজন তাকে ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি।

পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ড্রেজার মেশিনের মালিক আবুল বাশারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এর আগে গত জুলাই মাসে একইস্থানে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছিল অ্যাডভোকেট সাকায়েত লিটনের বিরুদ্ধে। তখন সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। কিছুদিন পর তিনি পুনরায় সেখানে বালু উত্তোলন শুরু করেন।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত অ্যাডভোকেট সাকায়েত লিটনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বালু উত্তোলনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই বলে ফোনকল কেটে দেন।

সেনবাগ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোক্তার হোসেন পাটোয়ারী বলেন, বিএনপি পরিচয়ে নয়, তিনি একজন আইনজীবী। যদি বেআইনি কাজ করে থাকেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক। দলের নামে কেউ অন্যায় করলে আমরাও তা সমর্থন করি না।

সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন আক্তার বলেন, ‘আমরা প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। পরে ড্রেজার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি।’

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৫:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫
৪১

বালু উত্তোলনকালে ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালালেন বিএনপি নেতা

আপডেট: ০৫:৪৮:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

বালু উত্তোলনকালে ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালালেন বিএনপি নেতা

নোয়াখালীর সেনবাগে সরকারি খাস জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের সময় হঠাৎ হানা দেন ম্যাজিস্ট্রেট। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সেনবাগ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাকায়েত লিটন পালিয়ে যান। পরে তাকে ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি। শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের গাজীরহাট স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দুদিন ধরে ওই এলাকায় সরকারি খাস জমি থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিলেন অ্যাডভোকেট সাকায়েত লিটন। অভিযোগ পেয়ে সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন আক্তার সেখানে অভিযান পরিচালনা করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাকায়েত লিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেখে দ্রুত সটকে পড়েন। প্রায় দুঘণ্টা অপেক্ষা করার পরও তাকে আর পাওয়া যায়নি। এসময় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ কয়েকজন তাকে ফোন দিলেও তিনি সাড়া দেননি।

পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ড্রেজার মেশিনের মালিক আবুল বাশারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এর আগে গত জুলাই মাসে একইস্থানে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছিল অ্যাডভোকেট সাকায়েত লিটনের বিরুদ্ধে। তখন সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। কিছুদিন পর তিনি পুনরায় সেখানে বালু উত্তোলন শুরু করেন।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত অ্যাডভোকেট সাকায়েত লিটনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বালু উত্তোলনের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই বলে ফোনকল কেটে দেন।

সেনবাগ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোক্তার হোসেন পাটোয়ারী বলেন, বিএনপি পরিচয়ে নয়, তিনি একজন আইনজীবী। যদি বেআইনি কাজ করে থাকেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হোক। দলের নামে কেউ অন্যায় করলে আমরাও তা সমর্থন করি না।

সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন আক্তার বলেন, ‘আমরা প্রায় দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি। পরে ড্রেজার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি।’