০৯:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৫

নোয়াখালীতে বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার, পরিবারের দাবি ফাঁসানোর অভিযোগ

মো: ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী প্রতিনিধি
মো: ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী প্রতিনিধি

নোয়াখালীতে বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার, পরিবারের দাবি ফাঁসানোর অভিযোগ

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক মিজান মাঝিকে (৪৫) বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে কোস্টগার্ড।

তবে পরিবারের দাবি—তাকে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণে ফাঁসানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কোস্টগার্ড পরিচয়ে ৩০-৩৫ জন ব্যক্তি ভূঁইয়ারহাট এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মিজান মাঝিকে হাত-পা ও চোখ বেঁধে তুলে নেয়।

এ সময় ঘরের দরজা ভেঙে মালামাল ভাঙচুর ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটের অভিযোগ করেছেন তাঁর স্ত্রী আফরোজা বেগম। পরে জোরপূর্বক মোবাইল ফোনে ‘লুট হয়নি’—এমন স্বীকারোক্তিও আদায় করা হয় বলে দাবি পরিবারের।

শুক্রবার দুপুরে ভূঁইয়ারহাট বাজারে মিজানের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী। তাঁরা দাবি করেন, মিজান মাঝি বিএনপির সক্রিয় নেতা ও সফল ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই।

চরজব্বর থানার ওসি শাহীন মিয়া বলেন, “মিজানকে আটক বা অভিযানের বিষয়ে কোস্টগার্ড আমাদের কিছু জানায়নি। থানায় তাঁর নামে কোনো মামলা নেই।”

এদিকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার বিএন মো. সিয়াম-উল-হক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাতিয়ার বাংলা বাজার মৎস্য আড়তে অভিযান চালিয়ে মিজান মাঝিকে আটক করা হয়।

তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আড়ত তল্লাশি করে ৯টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ, ৩টি দেশীয় অস্ত্র এবং ২৯টি হাতবোমা জব্দ করা হয়। আটককৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

আপডেট: ০৭:১৯:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫
৭৯

নোয়াখালীতে বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার, পরিবারের দাবি ফাঁসানোর অভিযোগ

আপডেট: ০৭:১৯:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ অগাস্ট ২০২৫

নোয়াখালীতে বিএনপি নেতা আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার, পরিবারের দাবি ফাঁসানোর অভিযোগ

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক মিজান মাঝিকে (৪৫) বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে কোস্টগার্ড।

তবে পরিবারের দাবি—তাকে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক শত্রুতার কারণে ফাঁসানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কোস্টগার্ড পরিচয়ে ৩০-৩৫ জন ব্যক্তি ভূঁইয়ারহাট এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মিজান মাঝিকে হাত-পা ও চোখ বেঁধে তুলে নেয়।

এ সময় ঘরের দরজা ভেঙে মালামাল ভাঙচুর ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটের অভিযোগ করেছেন তাঁর স্ত্রী আফরোজা বেগম। পরে জোরপূর্বক মোবাইল ফোনে ‘লুট হয়নি’—এমন স্বীকারোক্তিও আদায় করা হয় বলে দাবি পরিবারের।

শুক্রবার দুপুরে ভূঁইয়ারহাট বাজারে মিজানের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী। তাঁরা দাবি করেন, মিজান মাঝি বিএনপির সক্রিয় নেতা ও সফল ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা নেই।

চরজব্বর থানার ওসি শাহীন মিয়া বলেন, “মিজানকে আটক বা অভিযানের বিষয়ে কোস্টগার্ড আমাদের কিছু জানায়নি। থানায় তাঁর নামে কোনো মামলা নেই।”

এদিকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. কমান্ডার বিএন মো. সিয়াম-উল-হক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাতিয়ার বাংলা বাজার মৎস্য আড়তে অভিযান চালিয়ে মিজান মাঝিকে আটক করা হয়।

তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আড়ত তল্লাশি করে ৯টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ, ৩টি দেশীয় অস্ত্র এবং ২৯টি হাতবোমা জব্দ করা হয়। আটককৃতের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।