এ কে আজাদ, পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি-(খুলনা):
কপিলমুনিতে দোকান মালিক কর্তৃক ইলেকট্রিক শকে কর্মচারী নির্যাতনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার একই পরিবারের বিরুদ্ধে জমি আত্মসাতের অভিযোগে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। গত ০২/০৮/২০২৩ তারিখ স্বাক্ষরিত অসীম সাধুর বেয়াই রঞ্জন সাধু নিজ সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য বেয়াইন গীতা রানী সাধুকে এ লিগ্যাল নোটিশ করেন।
পাইকগাছা উপজেলা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের আইনজীবী এড. এফএমএ রাজ্জাক তার মক্কেল রঞ্জন সাধুর পক্ষে স্বাক্ষরিত নোটিশে উল্লেখ করেন, অসুস্থ রঞ্জন সাধুকে পাইকগাছা হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর নাম করে গীতা রানী সাধু, স্বামী অসীম সাধু ও রঞ্জন সাধুর প্রতারক সন্তান শংকর সাধু গত ইং ১৬/০২/২০২৩ তারিখ পাইকগাছা সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসে নিয়ে কিছু কাগজ পত্রে সহি স্বাক্ষর করেন।
অতঃপর নাছিরপুর মৌজার এস, এ- ৪৪ ও ২৪১ খতিয়ান অতঃপর নামজারী খতিয়ান ৫০৬৭, ডি পি খতিয়ান-৩২৬, হইতে ০.০৫৪ একর জমি বাবদ কোবলা দলিল করেন। উক্ত জমির বাজার মূল্য ৫০,০০,০০০/=(পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা। কিন্তু দলিলে যার মূল্য ৩০,০০,০০০/=(ত্রিশ লক্ষ) টাকা লেখা হয়। তবে প্রকৃত পক্ষে অসুস্থ্য রঞ্জন সাধুকে একটি টাকাও প্রদান করেন নাই। সম্পূর্ণ প্রতারণা ও বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে গত ইং ১৬/০২/২০২৩ তারিখ ৫৭৫ নম্বর দলিল সৃজন করেন। যেখানে জমিতে রঞ্জন সাধুর বসতবাড়ী। তিনি স্ত্রী, পুত্র সহ পরিবারের লোকজন নিয়ে বসবাস করেন।
লিগ্যাল নোটিশে এড. এফ এম এ রাজ্জাকের দাবি, দলিলখানি কোনভাবে কোবলা বা সম্পত্তি বিক্রয় দলিল নয় বা দলিলে উল্লেখিত পণ্য মূল্য আদান-প্রদান হয়নি। আমার মক্কেলের পুত্র গৌরঙ্গ সাধুকে ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য অপর পুত্র শংকর সাধুর সাথে যোগাযোগে বা তাকে আর্থিক সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে তাকে দলিলে আমার মোয়াক্কেলের টিপ সই শনাক্ত করে উক্ত দলিলখানি সৃজন করা হয়েছে মাত্র। বুনিয়াদে জমি দাবি করায় বিষয়টি প্রকাশ পাইতেছে। অত্র নোটিশ প্রাপ্তির ১০ (দশ) দিনের মধ্যে আপনার নামে সৃজনকৃত উল্লেখিত দলিলখানি বাবদ স্থফা বা না দাবি দলিল করিয়া আমার মক্কেলকে অবগত করিবেন।
অন্যথায় আমার মক্কেল আপনার বিরুদ্ধে উক্ত দলিলখানি বাতিলের/অকার্য্যকরি করার জন্য যথাযথ আইন ও আদালতে মামলা করতে বাধ্য হবে। তখন সকল দায়-দায়িত্ব আপনার উপর বর্তাবে। এদিকে গৌরঙ্গ সাধুর অভিযোগ, বেশ কিছুদিন ধরে তার স্ত্রী রূপা সাধুকে জোর করে তার শ্যালক বিশ্বজিৎ সাধু নিজ বাড়িতে আটক রেখেছে। সুচতুর শ্যালক বিভিন্ন কৌশলে তার বোনকে আমার বিরুদ্ধে কুপরামর্শ দেয়া অব্যাহত রেখেছে এবং আমার সংসার তছনছ করার মানষে স্ত্রীকে অর্থের লোভ দেখিয়ে আটকে ফেলেছে।
শুধু তাই নয়, নিজে একজন ধর্নাঢ্য ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও আমাকে হুকুমের গোলাম বানাতে আমার দারিদ্রতার সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে। বিভিন্ন সময় আমার নানাবিধ হুমকি, নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলায় জড়িয়ে আমার ও আমার পরিবারের সদস্যকে হয়রানি করবে বলে বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখাচ্ছে।