মোঃ ফখর উদ্দিন, নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
প্রবাসে প্রতারণার শিকার তৌহিদুল ইসলাম দেশের বাড়িতেও প্রতারক কর্তৃক হত্যার হুমকি পেয়ে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় নোয়াখালীর সেনবাগে এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়,নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৫নং অর্জুনতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ মানিকপুর হাজী আবদুল মজিদের বাড়ীর মৃতঃ আবদুল জব্বারের ছেলে মোঃ তৌহিদুল ইসলাম দীর্ঘদিন যাবত কাতারে ব্যবসা করে আসছেন।
গত ৪ বছর পূর্বে ৬নং কাবিলপুর ইউপির মইজদিপুর বেপারি বাড়ির হুমায়ুন কবির এর ছেলে কাতার প্রবাসী মোঃ ইউনুছ হোসেন ওরপে রাজির এর সাথে সখ্যতার সূত্র ধরে তৌহিদুল মৌখিক ও সাদা কাগজের চুক্তিপত্রে ব্যবসা শুরু করেন এবং ব্যবসার লভ্যাংশ মোঃ তৌহিদুল ইসলামের ৭০% আর মোঃ ইউনুছ হোসেন রাজিবের ৩০%।
পরবর্তীতে ইউনুছের সাথে তৌহিদুল ইসলামের হিসাব-নিকাশে বনিবনা হচ্ছে না বিধায় ভাই-বন্ধু (বাঙ্গালী) সহ বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করেন এবং মোঃ তৌহিদুল ইসলাম তার পার্টনার মোঃ ইউনুছ হোসেন ওরপে রাজিবের কাছে টাকা পাওনা হন।
কিছুদিন পর মোঃ তৌহিদুল ইসলাম কে টাকা না দিয়ে মোঃ তৌহিদুল ইসলামের সাথের আরেক জন ব্যবসায়িক পার্টনার ৭নং মোহাম্মদপুুর ইউপির দক্ষিণ রাজারামপুর গ্রামের ওয়ালী মুন্সী বাড়ীর কুদরুছ সাবার ছেলে কাতার প্রবাসী মো: আবু তায়েব পরবর্তীতে তাহারা দুইজন একত্রিত হয়ে মোঃ তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা রকম ষড়যন্ত্র শুরু করেন।তারই অংশ হিসেবে মোঃ তৌহিদুল ইসলাম কে পাওনা টাকা-পয়সা লেনদেন করবেন বলে ফোন করে তাদের বাসায় নিয়ে আটকিয়ে প্রায় ১২ ঘন্টা জিম্মি করে মারধর এবং হত্যার হুমকি দিয়ে তৌহিদুল ইসলামের নিকট থেকে জোরপূর্বক একটা সাদা স্ট্যাম্পে দস্তখত নেয় এবং কাতারের প্রশাসন দিয়ে ক্ষতিসাধন করার চেষ্টা করে।
মোঃ তৌহিদুল ইসলাম আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ মোকাবেলা করেন এবং গত ৫ মার্চ ২০২৩ইং কাতারে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস কে (রাষ্ট্রদূত) ঘটনার বিস্তারিত লিখিতভাবে অভিযোগ করেন যাহার তদন্ত চলমান।
ইতিমধ্যে গত ২৪ জুলাই ২০২৩ইং তারিখে মোঃ তৌহিদুল ইসলাম কাতার থেকে ছুটিতে বাংলাদেশে নিজ বাড়ীতে আসেন।
বাড়ীতে আসার পর গত ২৬ জুলাই ২০২৩ইং আনুঃ বিকেল ০৫ টার সময় কাতার প্রবাসী মোঃ ইউনুছ ওরপে রাজিব (প্রতারক) এর পিতা হুমায়ুন কবির সহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন লোক নিয়ে প্রবাসী মোঃ তৌহিদুল ইসলামের মানিকপুর নিজ বাড়ীতে এসে খুন ও জখমের হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলছেন কাতারে তৌহিদুল ইসলামের বাকী ব্যবসাও তারা জবরদখল করে নিয়ে গেছেন।তাই তৌহিদুল ইসলাম জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে বাদী হয়ে প্রতারক মো: ইউনুছ এর পিতা হুমায়ুন কবির সহ ৭/৮ জন কে আসামী করে সেনবাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
মোঃ তৌহিদুল ইসলাম স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে উক্ত ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস,পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয় সহ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।