বিকাশ চন্দ্র স্বর্নকার, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
প্রচন্ড রৌদ্রর তাপে অতিষ্ঠ জনজীবন তাই এই রৌদ্রের তাপ থেকে ক্লান্ত শরীরে একটু স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে আখেঁর রস খেতে ভিড় করে পথচারীরা। যদিও মাঝে মধ্যেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে নামে একটু প্রশান্তির বৃষ্টি। তবে তাতে করে ওই সময় টুকু শান্ত আবহাওয়াতে শরীর শিতল থাকলেও কিন্তু আবারও রৌদ্রের তাপে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে জনজীবন।
তবে বগুড়ার সোনাতলায় দিনের শুরুতেই বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে রৌদ্রের তাপমাত্রা। এ সময় পথচারীদের রৌদ্রের তাপমাত্রা থেকে একটু প্রশান্তি পেতে ছাতা মাথায় করে এদিকে সেদিক যেতে দেখা যায়। এদিকে পার্শ্ববর্তী শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের খেরুয়াপাড়া গ্ৰামের মোঃ নুরুল ইসলাম দেওলী ইউনিয়নের লক্ষিকোলা গ্ৰামে তিনি জন্মগ্ৰহন করেন। ওই গ্ৰামে বাবার অভাবের সংসারে কোনরকমে খেয়ে না খেয়ে বড় হন নুরুল।
এরপর তিনি সৈয়দপুর ইউনিয়নের খেরুয়াপাড়া গ্ৰামে মোছাঃ রশিদা নামের এক মেয়েকে বিয়ে করেন। সংসার জিবনে তাদের দুছেলে দুমেয়ে। বিয়ের পর নুরুল ইসলাম একটি ইট ভাটায় শ্রমিকের কাজ করে সন্তানদের নিয়ে কোনমতে চলে তাদের সংসার। প্রতিদিনের ন্যায় কাজে যান নুরুল কাজে যোগদানের পর হঠাৎ ইটের খামাল তার পায়ের উপরে পড়লে মুহুর্তে তার পা ভেঙ্গে যায়।
পরবর্তীতে লোকজনের কাছে থেকে সহযোগিতা নিয়ে চিকিৎসা করে ভাল হয় নুরুল কিন্তু আর তিনি ইট ভাটায় শ্রমিকের কাজ করেননি। জিবন জিবিকা নির্বাহে শুরু করেন আখের রস বিক্রি। প্রতিদিন শ্যালোর ইঞ্জিন লাগানো ভ্যান গাড়িতে করে সোনাতলা পৌর সদরে ঘুরে ঘুরে আখের রস বিক্রি করে। তার সাথে দেখা হলো তিন মাথা মোড় আকন্দ মার্কেট এর সামনে। সে সময়ে তিনি জানান, বর্তমানে প্রচন্ড তাপদাহের কারণে আখের রসের চাহিদা ব্যপক বেরেছে।
তবে তিনি আরো বলেন এই আখ মহাস্থানগড় এলাকার বিভিন্ন গ্ৰাম ঘুরে ঘুরে কিনতে হয় এবং বাড়িতে এনে পরিস্কার করে পরের দিন সেগুলো বিক্রির জন্য নিয়ে আসি, ১৮টাকা দরে ৫শত পিচ আখ ক্রয় করে দিনব্যপী ঘুরে রস তৈরি বিক্রি করে গড়ে প্রতিদিন ৫থেকে ৬শত লভ্যাংশ থাকে বলে জানিয়েছেন নুরুল। রৌদ্র দুপুরের আখের রস খেতে অনেকেই দেখা যায়।
এ সময়ে কথা হলো তৌহিদ ইসলাম,বিজয় স্বর্নকার,লিলি রানী সহ অনেকের সাথে,তারা প্রতিনিধিকে জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই প্রচুর রৌদ্রের তাপদাহের কারণে শরীর ঘেমে ক্লান্ত হয়ে পড়ে ।তাই এ সময় আখের রসে যেমন ক্লান্তি দুর হয় অন্যদিকে জলের ঘারতি মিটে। এদিকে সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার চিকিৎসক আব্দুর রহিম বলেন, প্রচন্ড গরমে জলের ঘারতি সহ হতে পারে হিটস্ট্রোক। তিনি বলেন বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে গরম পরিবেশে বেশি না থাকায় ভালো। তিনি আরো বলেন এ সময় শিশু সহ বয়স্কদের শরীরের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে।