বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার সোনাতলায় বেপরোয়া গতিতে প্রতিনিয়তই রাস্তায় চলাচল করে দৈত্যাকৃতির ড্রাম ট্রাক। ফলে প্রায় ঘটছে দূর্ঘটনা সেই সাথে নষ্ট হচ্ছে রাস্তাঘাট ও ব্রিজ। তবে এ ধরণের বিশাল আকৃতির ট্রাক বন্দের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। যদিও সোনাতলা থেকে আড়িয়াঘাট পর্যন্ত রাস্তার দুটি জায়গায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের আস্থায়ী লোহার ব্রিজ রয়েছে। ব্রিজের সামনে সড়ক ও জনপথ বিভাগ হতে ৫টনের অধিক কোনো পরিবহন চলতে পারবে না মর্মে সাইনবোর্ড সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তথাপিও প্রতিরাতে গড়ে দু’শোর মতন বড় আকৃতির ট্রাক গুলো প্রসাশনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ওই ব্রিজের উপর দিয়েই চলাচল করছে। এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৯ই জুলাই রবিবার ভোর অনুমান সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার ছোট বালুয়া গ্ৰামে মোকামতলা থেকে সোনাতলা আসার পথে বেপরোয়া গতির এক দৈত্যাকৃতির ড্রাম ট্রাক হুরমুর করে রাস্তার নিচে নেমে গিয়ে একটি সিনেটারি কারখানায় ঢুকে পড়ে।
স্থানীয়রা জানান সন্ধ্যে থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত বিরতিহীন চলাচল এর কারণে এবং ঘুমহীন ড্রাইভার ট্রাকটি ঘুমন্তভাবে চালানোর জন্যই ঘটেছে এই দূর্ঘটনা। সে সময়ে ওই কারখানার শ্রমিকগুলো কাজে না আসাই হতাহতের ঘটনা ঘটেনি কিন্তু এসময় সেনিটেশন কারখানার অনেক গুলো বালু সিমেন্ট ও খোয়া দ্বারা তৈরিকৃত পায়খানার পাট ভেংগে টুকরো টুকরো করে ফেলেছে ট্রাকটি। এতে করে ক্ষতি হয়েছে তবে বড় ধরনের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই কারখানা কর্তৃপক্ষ।
তবে অনেকেই জানিয়েছেন প্রাই দিন ভোর থেকেই শ্রমিকরা কাজে যোগদান করেন কিন্তু কেন যেন আজ ভোরে কাজে আসেনি শ্রমিকরা যার ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেলেন। এদিকে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় ড্রাম ট্রাক চলাচলে ক্ষতি হচ্ছে রাস্তা ব্রিজ সেই সাথে ঘটছে দুর্ঘটনা।
এবিষয়ে নিউজ প্রচারিত হলেও এই দৈত্যাকৃতির ড্রাম ট্রাক গুলো এখন পর্যন্ত প্রসাশনের পক্ষ হতে বন্দের কোন পদক্ষেপ নিতে চোখে দেখা যায়নি। তবে সচেতন মহল বলছে এই বিশাল আকৃতির ট্রাক গুলো দিবারাত্রিতে চলাচল করছে যার ফলে আমাদের সম্পদ নষ্ট হচ্ছে ঘটছে দূর্ঘটনা তারাও ট্রাকগুলো বন্দের দাবি জানিয়েছেন।